শিশুর জন্মের ছয় মাস পর থেকে শিশুকে বাড়তি খাবার দেওয়া হয়। শিশুদের পরিমিত স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি শিশুকে বিশুদ্ধ খাবার পানি দিতে হবে, না হয় শিশু পানিশূন্যতা ভুগবে।
অনেক সময় শিশুর পানিশূন্যতা না বুঝতে পারার কারণে শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয় খাওয়ানো হয় না,যার ফলে শিশু নানা জটিলতায় ভুগে।
প্রথমে দেখেনি কি কি কারণে পানি শূন্যতায় ভোগে শিশুরা-
- অত্যাধিক গরমে শিশুরা পানিশূন্যতায় ভুগতে পারে।
- শিশুর পাতলা পায়খানা থাকলে শিশু পানি শূন্যতায় ভোগে।
- শিশুর অন্য কোন অসুস্থতা থাকলে শিশু পানি শূন্যতায় ভোগে।
- এবার আসি পানিশূন্যতার কি কি লক্ষণ দেখা দেয় শিশুর মাঝে-
১. শুষ্ক ত্বক ও মুখ
পানিশূন্যতা দেখা দিলে প্রথমে শিশুর মাঝে যে লক্ষন দেখা দেয় তাহলো শিশুর মুখ এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যাবে। শিশুর হাত পা গরম ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। শিশুর ত্বক মলিন হয়ে যাবে এবং শিশুর ত্বক ফ্যাকাসে দেখাবে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে শিশুকে পরিমিত বিশুদ্ধ পানি খাওয়াতে হবে এবং মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
২. কান্নার সময় চোখে পানি না থাকা
যদি কান্না করে কিন্তু কান্নার সাথে যদি শিশুর চোখ দিয়ে পানি না পড়ে তাহলে বুঝতে হবে শিশু পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছে না।
৩. বেশি ঘুমাচ্ছে
শিশু পানিশূন্যতায় ক্লান্তি বোধ করে তাই শিশু বেশি বেশি ঘুমাতে চায় শিশু। বেশি ঘুমালে বুঝতে হবে শিশু হতো পানি শূন্যতায় ভুগছে।
৪. বিরক্তি
শিশুর যেকোনো সমস্যা প্রকাশের প্রথম মাধ্যম হচ্ছে বিরক্তি। যদি শিশুর অতিরিক্ত খিদা লাগে অথবা পানি শূন্যতায় ভোগে তাহলে শিশু বিরক্ত দেখাবে এবং খিট খিটে হয়ে যাবে।
পানিশূন্যতা কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়-
ছয় মাস পর্যন্ত শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। শিশুর বমি অথবা পাতলা পায়খানা হলে শিশুকে ঘন ঘন মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
প্রতিদিন শিশুকে আধা লিটার থেকে ১ লিটার পানি খাওয়াতে হবে।
১. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
উঠো! নামায পড়ে নাও, না হলে জাহান্নামে যাবে।
বরং তাকে বলুন:
চলো! একসাথে নামাযটা আদায় করে নি, তাহলে জান্নাতেও একসাথে থাকতে পারবো।
২. সন্তানকে বলবেন না:
হয়েছে খেলাধূলা ছেড়ে এবার পড়তে বসো। খেলার চেয়ে পড়ালেখা গুরুত্বপূর্ণ।
বরং তাকে বলুন:
তুমি তাড়াতাড়ি আজকের পড়াটা শেষ করে ফেলো, তাহলে পরে খেলার জন্য অনেক সময় পাবে।
৩.আপনার সন্তানকে বলবেন না:
এই তোমার রুমটা পরিষ্কার করে নাও, ইশ! খোয়াড় বানিয়ে রেখেছে কামরাটাকে।
বরং তাকে বলুন:
তোমার রুমটা কি তুমি একাই গোছাতে পারবে? নাকি আমি সাহায্য করবো? তুমি তো সব সময় একাই সবকিছু গুছিয়ে রাখো।
৪.আপনার সন্তানকে বলবেন না:
দেয়ালে দৃশ্য বা ছবি এঁকো না।
বরং তাকে বলুন:
তুমি তোমার খাতায় দৃশ্য বা ছবি আঁকো, আঁকা শেষ হলে দৃশ্য বা ছবিটা দেয়ালে বা ফ্রিজের ওপর বা বোর্ডে লটকে দিবে।
৫. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
একদম চকলেট খাবে না। সারাদিন শুধু চকলেট আর চকলেট। দাঁতগুলো তো সব এভাবেই যাবে।
বরং তাকে বলুন:
তোমাকে দিনে একবার চকলেট খাওয়ার অনুমিত দেয়া যাবে, কারণ তুমি নিজ দায়িত্বেই প্রতিদিন দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো।
৬. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
বাম কাত হয়ে শুয়ো না।বরং তাকে বলুন:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে ডানকাত হয়ে শুতে শিখিয়েছেন।
৭. আপনার সন্তানকে বলবেন না:
এই! দাঁত ব্রাশ করো, আমি না বললে দেখি তুমি দাঁতে হাতই দাও না।
বরং বলুন:
তুমি তো দেখি আমি বলার আগেই দাঁত পরিষ্কার করে ফেলো!
যে কোন তথ্য পেতে ভিজিট করুন- ডেইলি এডু নিউজে