ফেসবুকে বর্তমানে আলোচিত একটি বিষয় হচ্ছে বৃদ্ধ ফখ্রুলের জীবন সংগ্রাম। একজন বৃদ্ধ বাড়িতে বাড়িতে সাইকেলে করে ২০ টাকা করে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন শিক্ষার্থীদের ।
এই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের হৃদয় ব্যথিত করেছে। বিষয়টা ফেসবুক আলোচিত হয়েছে। অভাবের তাড়নায় সাইকেলে করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্লে থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ান। জনাব ফখরুলের বয়স ৭৯ বছর । জনাব ফখরুল এর বাড়ি মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বড় বাড়ি গ্রাম।
জনাব ফখরুল সাত সন্তানের জনক সম্পূর্ণ পরিবারের ব্যয় ভার এখন তার কাঁধে। তার ছোট তিন ছেলেমেয়ে স্কুলপড়ুয়া। জনাব ফখরুল এবং তার স্ত্রী দুজনেই হার্টের রোগী।মাঝে মধ্যে তাদের ঔষধ কিনতে হিমশিম হতে হয় এবং অন্যের দ্বারস্থ হতে হয়।
বৃদ্ধ ফখরুলের পূর্বের পেশা ছিল একটি বেসরকারি কোম্পানিতে। কিন্তু কোম্পানির কিছু পলিসির কারণে তিনি কোম্পানিটি ছেড়ে দেয়। কোম্পানির চাকরি ছেড়ে দিয়ে তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ানোর কাজে নিজেকে নিযুক্ত করে। ছোট ছেলে মেয়েদের সাথেই তার রয়েছে গভীর সম্পর্ক এবং তিনি পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদেরকে পড়ান ।
জনাব ফখরুল এ ব্যাপারে বলেন,
কোম্পানির চাকরি কেবল গিভ এন্ড টেকেন পলিসি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করে না। তারা কোম্পানির চাকরিজীবীদের কথা ভাবে না। তারা কেবল নিজেদের কথা হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের পড়ানোর মাঝে গিভ এন্ড টেকেন পলিসি নাই। তাই বৃদ্ধ ফখরুল শিক্ষার্থীদের পড়ানোর পেশায় নিজেকে নিযুক্ত করেছে। গ্রামের অনেক শিক্ষার্থীদের কে তিনি ফ্রিতে পড়ানআবার অনেকের কাছ থেকে২০ টাকার কম নেই।
৭ ছেলে-মেয়ের মধ্যে তিন ছেলে মেয়েকে বিয়ে দিয়েছে। তারা তাদের নিজেদের মতো করে সংসার করছে। মেজো ছেলে কিছু টাকা দেয় সে টাকা দিয়ে তার ঔষুধের খরচ চলে। বাধ্য হয়ে তিনি জীবিকার সন্ধানে এই পেশা বেছে নেয়।
গ্রামে অনেক অভিভাবকই জনাব ফখরুলের প্রশংসা করছে । তারা তাদের সন্তানকে জনাব ফখরুলের কাছে পড়িয়ে সুফল পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান জানায়,
ফখরুল স্যার আমাদের খুবই শ্রদ্ধার একজন মানুষ। তিনি অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ালেখা শিখিয়েছেন। কোনো প্রয়োজনে তিনি যদি বলেন, আমরা দেখব।
যেকোন তথ্য পেতে ভিজিট করুন- Daily Edu News